বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম শিক্ষা এমন একটি জানালা যা দিয়ে দূরের বস্তুকে কাছে দেখা যায়। মানুষের ব্যক্তিত্ব বিকাশে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সুশৃঙ্খল জ্ঞান অন্বেষণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবশ্যকতা অপরিহার্য, সেই উপলব্ধি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কয়েকজন ব্যক্তি। তাদের প্রচষ্ঠায় ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে অত্র প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শরু হয়। কালের স্রোত ধারায় হাঁটি হাঁটি পা পা করে প্রতিষ্ঠানটি অতিক্রম করেছে শতাধিক বছর। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিদ্যালয়টি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে সৃজনশীল মেধা অন্বেশণ ও দক্ষ প্রজন্ম গঠনকল্পে বদ্ধ পরিকর। বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ততা বজায় রেখে সুনাগরিক গঠনকল্পে এক ঝাঁক মেধাবী, উচ্চ শিক্ষিত দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়ে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এক বিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে প্রতিযোগিতামূলক এই বিশ্বে স্বীয় আসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের কোন বিকল্পে নেই। এই প্রয়োজনীয়তা উপলব্দির মাধ্যমে নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বহুবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অডিও ডিভাইস দিয়ে ক্লাস, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও শিক্ষকদের তৈরি ডিজিটাল কনটেন্ট দিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা। এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন (১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ) থেকে যে সকল নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শুভাকাঙ্খিগণ বিদ্যালয়টিকে সযত্নের পরশে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন তাঁদের প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন। এই বিদ্যালয়ের সকল প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিশেষ যারা দেশ ও বিশ্বকে সুন্দর, সুষ্ঠূ ও স্বচ্ছ করে গড়ে তোলার জন্য বিশেষ অবদান রেখেছেন ও রাখছেন তাঁদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করি ও অভিনন্দন জানাই। আমি এই প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করি । আমি আশাবাদী এই বিদ্যালয়টি প্রযুক্তি নির্ভর ও বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গঠনের লক্ষ্যে দেশের একটি শীর্ষ স্থানীয় বিদ্যালয়ে পরিণত হবে। জনাব মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলাম প্রধান শিক্ষক নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া।